Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

প্রশ্নোত্তর কৃষিকথা আষাঢ় ১৪২৪

মো. গোলাম মোস্তফা, গ্রাম : মুকুন্দপুর, উপজেলা : কালিগঞ্জ, জেলা : সাতক্ষীরা
প্রশ্ন : মরিচের ঢলে পড়া রোগের প্রতিকার কি?

উত্তর : মরিচের ঢলে পড়া একটি ছত্রাকজনিত রোগ। এ ছত্রাক গাছের নিচের দিকে কাণ্ডে আক্রমণ করে এবং সেখানে গাঢ় বাদামি দাগ সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে এ দাগ কাণ্ডের গোড়াকে চারদিক থেকে বেষ্টন করে ফেলে। প্রথমে গাছের পাতা হলুদ হয়ে যায়। ক্রমে গাছ ঢলে পড়ে এবং শেষ পর্যন্ত মারা যায়। রোগের অনুকূল অবস্থা থাকলে ১০-১৫ দিনের মধ্যে গাছ সম্পূর্ণ ঢলে পড়ে, তবে প্রতিকূল অবস্থায় ২-৩ মাস সময় লাগতে পারে। এ রোগ থেকে বাঁচার জন্য একটু উঁচু জমিতে মরিচ চাষ করতে হবে।  প্রতি কেজি বীজের জন্য প্রোভেক্স-২০০ অথবা ব্যাভিস্টিন ২.৫ গ্রাম হারে মিশিয়ে বীজ শোধন করে নিতে হবে। মরিচ লাগানোর আগে জমিতে শতাংশ প্রতি ১ কেজি ডলোচুন প্রয়োগ করে জমি তৈরি করতে হবে। এ রোগ দেখা দিলে ১ লিটার পানিতে ২ গ্রাম ব্যাভিস্টিন-ক্যাপটান গুলে আক্রান্ত গাছের গোড়ার মাটিতে স্প্রে করতে হবে। কখনও আক্রান্ত জমি থেকে বীজ সংগ্রহ করা যাবে না। সুস্থ ও রোগমুক্ত বীজতলার চারা লাগাতে হবে। রোগে আক্রান্ত গাছ তুলে ফেলতে হবে এবং ফসল সংগ্রহের পর পরিত্যক্ত অংশ পুড়িয়ে ফেলতে হবে।

 

মো. মোখলেসুর রহমান, গ্রাম : কাগজিপাড়া, উপজেলা : মিঠাপুকুর, জেলা : রংপুর
প্রশ্ন : শসার সাদা মাছি পোকা দমন করব কিভাবে?

উত্তর : সাদা মাছি পোকা খুব ক্ষতিকারক একটি পোকা। পূর্ণবয়স্ক পোকা এবং নিম্ফ দুটোই গাছের ক্ষতি করে। এরা শসা গাছের পাতার রস চুষে খায়। ফলে গাছের বৃদ্ধি ব্যহত হয়, ক্রমে গাছ দুর্বল হয়ে পড়ে এবং এর ফলন কমে যায়। গাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। সাদা মাছি গাছে ভাইরাসজনিত রোগ ছড়ায়। এদের নিধন বা নির্মূল করা জরুরি। আঠাযুক্ত বোর্ড ব্যবহার করে এদের প্রতিহত করা যায়। এছাড়া ৫০ গ্রাম সাবানের গুঁড়া ১০ লিটার পানিতে গুলে পাতার নিচে স্প্রে  করলে এদের সংখ্যা কমে আসে। সাবান-পানি সপ্তাহে ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে। আক্রমণ বেশি হলে কীটনাশক যেমন এডমায়ার ০.৫ মিলি/ইমিটাফ ০.২৫ মিলি/টাফগর ২ মিলি প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। মনে রাখতে হবে স্প্রে করার ১৫ দিনের মধ্যে সেই সবজি খাওয়া বা বিক্রি করা যাবে না। সাদা মাছি দলবদ্ধভাবে থাকতে পছন্দ করে। এদের দলবদ্ধভাবে দমন করতে পারলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

 

মো. আতিয়ার মোল্লা, গ্রাম : রাধারামপুর, উপজেলা : মাগুরা সদর, জেলা : মাগুরা
প্রশ্ন : জমিতে তিল ফসলের চাষ করতে চাই। তিল ফসলের জন্য কি কি সার ব্যবহার করব?

উত্তর : তিলের জমিতে ইউরিয়া, টিএসপি, এমওপি, জিপসাম ছাড়াও প্রয়োজন বোধে জিংক সালফেট এবং বরিক এসিড প্রয়োগ করতে হবে। প্রতি হেক্টরের জন্য ইউরিয়া প্রয়োজন হবে ১০০-১২৫ কেজি। হেক্টরপ্রতি ১৩০-১৫০ কেজি টিএসপি, ৪০-৫০ কেজি এমওপি এবং ১০০-১১০ কেজি জিপসাম প্রয়োগ করতে হবে। প্রয়োজনে হেক্টরপ্রতি ৫ কেজি পর্যন্ত জিংক সালফেট এবং ৮-১০ কেজি বরিক এসিড জমিতে দিতে হবে। ইউরিয়া সারের অর্ধেক ও অন্য সারগুলো শেষ চাষের সময় জমিতে ছিটিয়ে মাটির সাথে খুব ভালো করে মিশিয়ে দিতে হবে। ফুল আসার সময় অর্থাৎ বীজ বপনের ২৫-৩০ দিন পর বাকি অর্ধেক ইউরিয়া উপরিপ্রয়োগ করতে হবে।  

 

মো. আবু রায়হান, গ্রাম : শালিয়াবহ, উপজেলা : ঘাটাইল, জেলা : টাঙ্গাইল
প্রশ্ন : মিষ্টিকুমড়ার পাতার ওপর কোণাকৃতির হলুদ রঙের দাগ দেখা যায় এবং পাতা নষ্ট হয়ে যায়। প্রতিকার কি?

উত্তর : মিষ্টিকুমড়া গাছে ডাউনি মিলডিউ রোগ দেখা দিয়েছে। এ রোগে পাতা আক্রান্ত হয়। আক্রান্ত পাতায় নানা আকারের কোণাকৃতি ও হলদে দাগ পড়ে।  দাগগুলো দ্রুত সংখ্যায় বৃদ্ধি পায় ও আকারে বড় হয়। পাতার নিচের দিকে দাগের ওপরে বেগুনি রঙের ছত্রাক জন্মে। রোগ যাতে না হয় সেজন্য  আগাম বীজ বপন করা ও  সুষম সার ব্যবহার করা প্রয়োজন।  রোগ প্রতিরোধী জাত  চাষ করতে হবে। আগাছা পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। রোগ দেখা দিলে ছত্রাকনাশক যেমন- গেইভেট বা মনোভিট বা ম্যাকভিট ২ মিলি/লিটার হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা যেতে পারে। আক্রান্ত অংশ সংগ্রহ করে নষ্ট করে ফেলতে হবে এবং আক্রান্ত গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করা যাবে না।

 

মো. রুহুল আমিন, গ্রাম : চকগোপাল, থানা : কোতোয়ালি, জেলা : দিনাজপুর
প্রশ্ন : আমার গরুর বাছুর হয়েছে ২ মাস আগে। গরু অল্প পরিমাণ দুধ দেয়। দিনে দিনে গরু ও বাছুর শুকিয়ে যাচ্ছে। আমি এ ব্যাপারে পরামর্শ চাই।

উত্তর : আপনার গরুকে প্রতিদিন ৩ কেজি পরিমাণ দানাদার খাদ্য খেতে দিতে হবে। এর পাশাপাশি ইএস এডিই ইনজেকশন অথবা ভিটা এডিই ইনজেকশন ১০ মিলি. করে চার দিন পর পর মাংসে ৩টি ইনজেকশন দিতে হবে। আর বাছুরকে উক্ত ইনজেকশন ৫ মিলি. করে চার দিন পর পর মাংসে ৩টি ইনজেকশন দিতে হবে।

 

সবুর হোসেন, গ্রাম : পালগিরি, থানা : কচুয়া,  জেলা : চাঁদপুর  
প্রশ্ন : আমার ২০টি কবুতর আছে। এদের মধ্যে কিছু কবুতর ঝিমায় এবং মাথা নিচু করে রাখে। এগুলোর পাতলা পায়খানা হয়েছে। পায়খানার রঙ সবুজ। আমি এ বিষয়ে পরামর্শ চাই।

উত্তর : আপনার কবুতরের কলেরা রোগ হয়েছে। সুস্থ করে তোলার জন্য কবুতরগুলোকে একটি করে সিপ্রো এ ভেট অথবা সিভক্স ভেট বোলাস পানির সাথে মিশিয়ে দিনে দুইবার করে ৫ দিন খাওয়াতে হবে। সাথে ইলেক্টোমিন ভেট পাউডার অথবা গ্লুকোলাইট ভেট পাউডার প্রতি ১ গ্রাম এর সাথে তিন লিটার পানি মিশিয়ে দিনে তিন বার খাওয়াতে হবে।

 

মো. আল মামুন, গ্রাম : বাসতলা, উপজেলা : তারাকান্দা, জেলা : ময়মনসিংহ
প্রশ্ন : পুকুরে মাছ জেগে থাকে বা ভেসে ওঠে। কি করব?
উত্তর : পানিতে যদি অক্সিজেনের অভাব হয় তাহলে মাছ ভাসে। পুকুরে মাছের ঘনত্ব বেশি থাকলে মাছ কমিয়ে দিতে হবে। শতকপ্রতি ৪০-৫০টি মাছ রাখতে হবে। পুকুরের পাড়ে গাছপালা থাকলে এমনভাবে ছেটে দিতে হবে যেন পুকুরে আলো বাতাস বেশি থাকে এবং গাছের পাতা পানিতে পড়ে সেখানে পচন তৈরি করতে না পারে। পানিতে বুঁদবুঁদ উঠতে দেখা গেলে বা পুকুরের তলদেশে গ্যাস হলে হররা টেনে গ্যাস বের করতে হবে। পানিতে অক্সিজেন মেশানোর জন্য বাঁশ, কাঠের ঝাপটা বা পাতিলের সাহায্যে ঢেউ সৃষ্টি করতে হবে। এছাড়াও পুকুরে পানি ঢোকানোর সুযোগ থাকলে পানি ঢুকিয়ে পুকুরের পানি বদল করে দেয়া যেতে পারে। অল্প পরিমাণে পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট কাপড়ে পুঁটলি বেঁধে পুকুরের ২-৩ জায়গায় পানির ওপরের স্তরে ডুবিয়ে রাখলে তাতে অক্সিজেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।

 

মো. আলমগীর হোসেন, গ্রাম : শিমুলবাড়ি, উপজেলা : জলঢাকা, জেলা : নীলফামারী
প্রশ্ন : পুকুরে পানির গুণাগুণ কিভাবে ভালো রাখা যায় সে ব্যাপারে পরামর্শ চাই।
উত্তর : পুকুরের পানি ভালো রাখতে কয়েকটি বিষয়ের প্রতি সচেতন থাকা দরকার। পুকুরের পানি মাঝে মাঝে পরিবর্তন করে দিতে হবে। সঠিক ঘনত্বে মাছ মজুত করতে হবে। নিয়মিত খাদ্য প্রয়োগের পাশাপাশি সঠিক মাত্রায় সার ও চুন প্রয়োগ করলে পানির গুণাগুণ ভালো রাখা যায়। এছাড়াও পানি ভালো রাখার জন্য বায়ো-অক্স ১৫-২০ গ্রাম প্রতি শতকে অথবা এ্যাকুয়াক্লিন ০.৫-১.০ লিটার/একর ৪-৬ ফুট গভীর পানির জন্য প্রয়োগ করা যেতে পারে।

 

সুপ্রিয় পাঠক বৃহত্তর কৃষির যে কোনো প্রশ্নের উত্তর বা সমাধান পেতে বাংলাদেশের যে কোনো জায়গা থেকে যে কোনো মোবাইল থেকে কল করতে পারেন আমাদের কৃষি কল সেন্টার এর ১৬১২৩ এ নাম্বারে। শুক্রবার ও সরকারি ছুটি ব্যতিত যে কোনো দিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এ সময়ের মধ্যে।
 

তাছাড়া কৃষিকথার গ্রাহক হতে বার্ষিক ডাক মাশুলসহ ৫০ টাকা মানি অর্ডারের মাধ্যমে পরিচালক, কৃষি তথ্য সার্ভিস, খামারবাড়ি, ফার্মগেট, ঢাকা-১২১৬ এ ঠিকানায় পাঠিয়ে ১ বছরের জন্য গ্রাহক হতে পারেন। প্রতি বাংলা মাসের প্রথম দিকে কৃষিকথা পৌঁছে যাবে আপনার ঠিকানায়।

 

কৃষিবিদ ঊর্মি আহসান*
*উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (এলআর), সংযুক্ত:- কৃষি তথ্য সার্ভিস, খামারবাড়ি, ঢাকা-১২১৫

 


COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon